বাক্সবন্দি চিঠি তোমার নামে
প্রিয় প্রেমিক,
মনে পড়ে তোমার সেই প্রথম দিনটা যেদিন এই অগোছালো মেয়েটার হাত ধরে বলেছিলে সারাজীবনের জন্য পাশে থেকে ভালোবাসতে চাও! একটা অদ্ভুত ভালো লাগা আর সম্মান জন্মেছিল তোমার প্রতি সেদিন। মনে হয়েছিল এই তোমার হাত ধরে অনায়াসে দিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারবো। সেদিন তোমার থেকে সময় চেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু উত্তরটা সেদিনই তোমায় জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।
তোমার সেই কথার উত্তরটা আমি কখনও তোমাকে সেভাবে দিইনি। তুমি নিজেই বুঝে গিয়েছিলে আমি কি চাই। কি সুন্দরভাবে তখন আমি কিছু না বলাতেও আমার মনের কথা বুঝে যেতে তাই না। আচ্ছা ওই দিনটার কথা মনে আছে তোমার যেদিন সারাদিনের অপছন্দের ক্লাসগুলো করে আসার পর তোমার সাথে দেখা করে তোমাকে জড়িয়ে ধরে সমস্ত ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলাম! অবাক হওয়ার চেয়েও বেশি লজ্জা পেয়েছিলে তুমি সেদিন। শুধু তাই নয় রোজ যে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা কি এত কথা বলে কাটিয়ে দিতাম কে জানে! কিন্তু দেখো আজ না আমাদের মধ্যে সেভাবে দেখা হয় নাই কথা। কথা গুলো যেন কিরকম ভাবে হারিয়ে গেছে।
তুমি আমাকে আদর করে 'বাবাই' বলে ডাকতে। ঘোরতর আপত্তি ছিল এই নামটায়। খালি বলতাম আমাকে আমার নামেই ডাক। কিন্তু তোমাকে কে আটকায়! তুমি সেই 'বাবাই' বলেই ছাড়তে। আজ এই নামটাও কোথাও যেন হারিয়ে গেছে। খুব ইচ্ছে হয় এই নামটা শুনতে জানো।
মনে আছে তোমার আমার বাড়িতে কাটিয়ে যাওয়া সেই তিন দিনের কথা। বেশ কিসুন্দর করে নিজেকে বাড়ির প্রত্যেকটা লোকের সাথে মানিয়ে নিয়েছিলে বলো। ওই তিন দিন তোমাকে অনেকটা কাছ থেকে চেনার সুযোগ পেয়েছিলাম। সাথে বিরক্ত করেছিলাম অনেক বেশি। বিরক্ত দিয়ে মনে পরলো আমার পরীক্ষার সময় কিরকম তোমাকে পাগলের মতন ফোন করে পড়া বুঝিয়ে দিতে বলতাম। আর তুমি একটুও বিরক্ত না হয়ে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা একই জিনিস বুঝিয়ে যেতে।
সব কিছুই তো ঠিকঠাক চলছিল বলো। আমরা যে কবে একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করলাম সেটা কেউই বুঝে উঠতে পারলাম না। দোষটা আমারই ছিল। খালি খালি তোমাকে তোমার কাজের সময় বিরক্ত করে যেতাম। সব সময় তোমার সাথে কথা বলতে চাওয়াটা তোমার কাছে কিরকম বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে লাগলো। অবাক লাগছিলো তোমাকে চিনতে, তোমাকে বুঝে ওঠাটা কিরকম কঠিন হয়ে উঠছিল। তোমাকে খালি বলতাম আগের মতোন হয়ে যেতে যেটা তোমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। তুমি বার বার বিরক্ত হয়ে আমাকে বলে যেতে আগের মধ্যে আর এখনের মধ্যে তফাৎ আছে। যাতে আমি মানিয়ে নি। পারিনি মানিয়ে উঠতে। তাই হয়তো তোমার প্রতি অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছিল আমার মধ্যে। উচিত ছিল না। কিন্তু তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা ভীষণভাবে আমাকে গ্রাস করেছিল। অনেক রকমের চেষ্টা করেছিলাম সব কিছু ঠিক করে ফেলার। কিন্তু আর সম্ভব হলোনা। এই তুমিই আমাকে এক সময় বলতে, "আমরা দুজন এক নৌকার যাত্রী।" কিন্তু এক নৌকার যাত্রী হয়েও যে গন্তব্যটাও যে এক হবে এরকম কোনো কথা নেই। এই এত দিন বেশ তোমাকে নিয়ে মেতে ছিলাম আমি। তোমার চেয়ে বেশি কিছু চাইনি কখনও। কিন্তু এই তুমিই আমাকে শেখালে তোমার চেয়ে বেশি নিজেকে নিয়ে ভাবতে। আজ আমি তোমার মতোই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে। কিন্তু জানো দিনের শেষে কোথাও না কোথাও গিয়ে তোমার কথা ভীষণভাবে মনে পরে। কিন্তু তোমাকে আর আমার কাছে কখনই আটকে রাখতে চাইনা। তাই তুমি তোমার মতোন করে বেশ ভালো থেকো। যেদিন কোনও ভাবে আমার কথা তোমার ভীষণভাবে মনে পরবে, ভাবাবে সময়গুলো আমার কথা জানবে কোথাও না কোথাও তোমার নামের এই চিঠি গুলো এভাবেই বাক্সবন্দি হচ্ছে।
ভালো থেকো প্রেমিক।
ইতি,
তোমার আদরের
প্রেমিকা
মনে পড়ে তোমার সেই প্রথম দিনটা যেদিন এই অগোছালো মেয়েটার হাত ধরে বলেছিলে সারাজীবনের জন্য পাশে থেকে ভালোবাসতে চাও! একটা অদ্ভুত ভালো লাগা আর সম্মান জন্মেছিল তোমার প্রতি সেদিন। মনে হয়েছিল এই তোমার হাত ধরে অনায়াসে দিনগুলো কাটিয়ে দিতে পারবো। সেদিন তোমার থেকে সময় চেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু উত্তরটা সেদিনই তোমায় জানিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।
তোমার সেই কথার উত্তরটা আমি কখনও তোমাকে সেভাবে দিইনি। তুমি নিজেই বুঝে গিয়েছিলে আমি কি চাই। কি সুন্দরভাবে তখন আমি কিছু না বলাতেও আমার মনের কথা বুঝে যেতে তাই না। আচ্ছা ওই দিনটার কথা মনে আছে তোমার যেদিন সারাদিনের অপছন্দের ক্লাসগুলো করে আসার পর তোমার সাথে দেখা করে তোমাকে জড়িয়ে ধরে সমস্ত ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলাম! অবাক হওয়ার চেয়েও বেশি লজ্জা পেয়েছিলে তুমি সেদিন। শুধু তাই নয় রোজ যে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা কি এত কথা বলে কাটিয়ে দিতাম কে জানে! কিন্তু দেখো আজ না আমাদের মধ্যে সেভাবে দেখা হয় নাই কথা। কথা গুলো যেন কিরকম ভাবে হারিয়ে গেছে।
তুমি আমাকে আদর করে 'বাবাই' বলে ডাকতে। ঘোরতর আপত্তি ছিল এই নামটায়। খালি বলতাম আমাকে আমার নামেই ডাক। কিন্তু তোমাকে কে আটকায়! তুমি সেই 'বাবাই' বলেই ছাড়তে। আজ এই নামটাও কোথাও যেন হারিয়ে গেছে। খুব ইচ্ছে হয় এই নামটা শুনতে জানো।
মনে আছে তোমার আমার বাড়িতে কাটিয়ে যাওয়া সেই তিন দিনের কথা। বেশ কিসুন্দর করে নিজেকে বাড়ির প্রত্যেকটা লোকের সাথে মানিয়ে নিয়েছিলে বলো। ওই তিন দিন তোমাকে অনেকটা কাছ থেকে চেনার সুযোগ পেয়েছিলাম। সাথে বিরক্ত করেছিলাম অনেক বেশি। বিরক্ত দিয়ে মনে পরলো আমার পরীক্ষার সময় কিরকম তোমাকে পাগলের মতন ফোন করে পড়া বুঝিয়ে দিতে বলতাম। আর তুমি একটুও বিরক্ত না হয়ে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা একই জিনিস বুঝিয়ে যেতে।
সব কিছুই তো ঠিকঠাক চলছিল বলো। আমরা যে কবে একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করলাম সেটা কেউই বুঝে উঠতে পারলাম না। দোষটা আমারই ছিল। খালি খালি তোমাকে তোমার কাজের সময় বিরক্ত করে যেতাম। সব সময় তোমার সাথে কথা বলতে চাওয়াটা তোমার কাছে কিরকম বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে লাগলো। অবাক লাগছিলো তোমাকে চিনতে, তোমাকে বুঝে ওঠাটা কিরকম কঠিন হয়ে উঠছিল। তোমাকে খালি বলতাম আগের মতোন হয়ে যেতে যেটা তোমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। তুমি বার বার বিরক্ত হয়ে আমাকে বলে যেতে আগের মধ্যে আর এখনের মধ্যে তফাৎ আছে। যাতে আমি মানিয়ে নি। পারিনি মানিয়ে উঠতে। তাই হয়তো তোমার প্রতি অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছিল আমার মধ্যে। উচিত ছিল না। কিন্তু তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা ভীষণভাবে আমাকে গ্রাস করেছিল। অনেক রকমের চেষ্টা করেছিলাম সব কিছু ঠিক করে ফেলার। কিন্তু আর সম্ভব হলোনা। এই তুমিই আমাকে এক সময় বলতে, "আমরা দুজন এক নৌকার যাত্রী।" কিন্তু এক নৌকার যাত্রী হয়েও যে গন্তব্যটাও যে এক হবে এরকম কোনো কথা নেই। এই এত দিন বেশ তোমাকে নিয়ে মেতে ছিলাম আমি। তোমার চেয়ে বেশি কিছু চাইনি কখনও। কিন্তু এই তুমিই আমাকে শেখালে তোমার চেয়ে বেশি নিজেকে নিয়ে ভাবতে। আজ আমি তোমার মতোই ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে। কিন্তু জানো দিনের শেষে কোথাও না কোথাও গিয়ে তোমার কথা ভীষণভাবে মনে পরে। কিন্তু তোমাকে আর আমার কাছে কখনই আটকে রাখতে চাইনা। তাই তুমি তোমার মতোন করে বেশ ভালো থেকো। যেদিন কোনও ভাবে আমার কথা তোমার ভীষণভাবে মনে পরবে, ভাবাবে সময়গুলো আমার কথা জানবে কোথাও না কোথাও তোমার নামের এই চিঠি গুলো এভাবেই বাক্সবন্দি হচ্ছে।
ভালো থেকো প্রেমিক।
ইতি,
তোমার আদরের
প্রেমিকা
Ashadharon ❤️
ReplyDeleteNice 1
ReplyDelete