একটু অন্যরকম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে অনেক কিছুই আমাদের নজরে সচরাচর আসেনা। কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তির পর ভারচুয়াল মিডিয়াতে ঢুকতেই এমন কিছু দেখি যেগুলো আবার এড়িয়ে যাওয়ার মতোনও না। মাঝেমধ্যেই ফেসবুকের মতোন সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশির ভাগ মেয়েদেরই পোস্ট করতে দেখি যেখানে বলা হয়ে থাকে, " একটা ছেলে কখনই একটা মেয়ের চেয়ে বেশি স্ট্রং হতে পারে না। আমরা হেঁসেল ঠেলি, সংসার সামলাই, নয় মাস একটা বাচ্চাকে পেটে রেখে জন্ম দি প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে, তাকে বড় করে তুলি এবং আরও অনেক কিছু।" বলতে শুরু করলে হয়তো শেষ হবে না।
অবশ্যই আমরা মেয়েরা স্ট্রং না হলে রান্না করা, সংসার সামলানো, কাজ করা, আবার ছেলে-মেয়ে মানুষ করে তোলা- এতকিছু একা হাতে করা মুখের কথা নয়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতাটাও মেয়েদের আছে। কিন্তু শুধুমাত্র এই "প্রসব যন্ত্রণা" কথাটাকে বেশি প্রাধাণ্য দিয়ে কখনই নিজেদের স্ট্রং আর ছেলেদের উইক বলা খাটে না। কারণ আমরা মেয়েরা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে অনেক সময়ই ভেঙে পরি। কিন্তু কখনই কোনও ছেলেকে কোনোরকম কঠিন পরিস্থিতিতে কাঁদতে বা হেরে যেতে দেখিনা। তাদের মুখবুজে সেই কঠিন সময়টা পার করতে হয়। কারণ কাঁদলেই তখন তারা উইক বলে পরিচিত হন। আমাদের প্রত্যেকের ফ্যামিলিতে মা-দিম্মা-দিদিরা যেমন আছেন তেমন বাবা-দাদু-দাদা-ভাইরাও আছেন। কিন্তু কখনও কি আমরা এটা ভেবে দেখেছি যে বাবা-দাদারা কিভাবে আছেন? একটা সংসার অবশ্যই একটা মেয়ে সামলায়, কিন্তু সেই সংসার চালানোর পুরো দায়িত্বটা থাকে একটা ছেলের উপর। একজন বাবার কঠোর পরিশ্রমের উপার্জনের ফলেই মায়েরা নিশ্চিন্তে হেঁসেল সামলে টিভি দেখতে পারেন। কিন্তু আমরা অনেকেই ভেবে দেখিনা আমাদের বাবা-দাদারা কি কষ্ট করছেন।
আচ্ছা! কখনও কি সেই অভাবের সংসারে গিয়ে উঁকি মেরে দেখেছেন! যাদের এটা ভাবতে হয় কালকে কিভাবে চলবে সংসারটা। কিংবা কাল কি খাবো! সেখানে গেলেই দেখা যাবে বহু ছেলে তাদের ইচ্ছের সমাধি দিয়ে সংসারে দুটো টাকা দেওয়ার জন্য কি কঠিন লড়াইটাই না লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তখন আমরা কেউ এগিয়ে এসে বলি না যে ছেলেটা কি স্ট্রং!
ছেলেদের দিক থেকে সরে গিয়ে একটু এবার নিজেদের দিকে মানে আমাদের মেয়েদের দিকে আসি। এই সমাজে এমন অনেক বিবাহিত মেয়েরা আছেন যাদের উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও হাউস ওয়াইফ হয়ে থাকেন। অনেকের পরিবার দিয়ে হয়তো মেনে নিতে পারেন না যে বৌমা চাকরি করবে বলে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের ইচ্ছেতেই বাড়িতে বসে থাকেন, চাকরির কোনও রকম ইচ্ছে তো দূরের কথা মাথাতেও এই বিষয়টা আনতে চান না। শুধু বিবাহিত কেন অনেক অবিবাহিত মেয়েও আছেন এরকম যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের "ড্যাডি'স লিটল প্রিন্সেস" বলে আখ্যা দিয়ে বেড়ান অথচ ক্যারিয়ার ব্যাপারটা কি সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু কখনও এদের এই সময় বলতে শোনা যায় না যে "আমরা স্ট্রং! আমরা চাকরি করতে চাই বা অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে কিছু করে দেখাতে চাই!" সমাজের এই "রানী" বা "রাজকন্যা" রাই বেশী করে খেটে খাওয়া ছেলেদের মানে গোটা পুরুষজাতিটাকে "উইক" তকমাটা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা কখনও ভেবে দেখেন না তারা যে আজ এতটা খুশি আছেন বা দামি গয়না, শাড়ি বা জামাকাপড় পড়তে পারছেন সেটা সেই "উইক" তকমা দেওয়া পুরুষজাতীর মানে তার স্বামী বা বাবা-দাদার কঠোর পরিশ্রমের ফল। কিন্তু সমাজে এরকমও অনেক মেয়েরা আছেন যারা নিজেদের পাশাপাশি একটা ছেলের কঠিন পরিশ্রমকে সম্মান দিয়ে থাকেন।
আমাদের মেয়েদের কখনই ছেলেদের উইক বলে নিজেদের স্ট্রং বলা একদমই সাজে না কারণ আমরা মেয়েরা আমাদের মতোন স্ট্রং আর ছেলেরা তাদের মতন স্ট্রং। আমরা স্বাধীনচেতা হতে শিখেছি মায়ের পাশাপাশি বাবার সহযোগিতায়। তাই কোনও ভাবে ছেলেদের উইক বলা মানে নিজেদের বাবা-দাদাদের উইক বলা। এসব উইক স্ট্রং এর মাপকাঠিতে না গিয়ে সেই মানুষগুলোর স্যাক্রিফাইস এর জন্য তাদের পাশে সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে দাঁড়ানো। মুখে বলা যত সোজা, সেই মানুষগুলোর জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করা খুবই কঠিন।
অবশ্যই আমরা মেয়েরা স্ট্রং না হলে রান্না করা, সংসার সামলানো, কাজ করা, আবার ছেলে-মেয়ে মানুষ করে তোলা- এতকিছু একা হাতে করা মুখের কথা নয়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতাটাও মেয়েদের আছে। কিন্তু শুধুমাত্র এই "প্রসব যন্ত্রণা" কথাটাকে বেশি প্রাধাণ্য দিয়ে কখনই নিজেদের স্ট্রং আর ছেলেদের উইক বলা খাটে না। কারণ আমরা মেয়েরা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে অনেক সময়ই ভেঙে পরি। কিন্তু কখনই কোনও ছেলেকে কোনোরকম কঠিন পরিস্থিতিতে কাঁদতে বা হেরে যেতে দেখিনা। তাদের মুখবুজে সেই কঠিন সময়টা পার করতে হয়। কারণ কাঁদলেই তখন তারা উইক বলে পরিচিত হন। আমাদের প্রত্যেকের ফ্যামিলিতে মা-দিম্মা-দিদিরা যেমন আছেন তেমন বাবা-দাদু-দাদা-ভাইরাও আছেন। কিন্তু কখনও কি আমরা এটা ভেবে দেখেছি যে বাবা-দাদারা কিভাবে আছেন? একটা সংসার অবশ্যই একটা মেয়ে সামলায়, কিন্তু সেই সংসার চালানোর পুরো দায়িত্বটা থাকে একটা ছেলের উপর। একজন বাবার কঠোর পরিশ্রমের উপার্জনের ফলেই মায়েরা নিশ্চিন্তে হেঁসেল সামলে টিভি দেখতে পারেন। কিন্তু আমরা অনেকেই ভেবে দেখিনা আমাদের বাবা-দাদারা কি কষ্ট করছেন।
আচ্ছা! কখনও কি সেই অভাবের সংসারে গিয়ে উঁকি মেরে দেখেছেন! যাদের এটা ভাবতে হয় কালকে কিভাবে চলবে সংসারটা। কিংবা কাল কি খাবো! সেখানে গেলেই দেখা যাবে বহু ছেলে তাদের ইচ্ছের সমাধি দিয়ে সংসারে দুটো টাকা দেওয়ার জন্য কি কঠিন লড়াইটাই না লড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তখন আমরা কেউ এগিয়ে এসে বলি না যে ছেলেটা কি স্ট্রং!
ছেলেদের দিক থেকে সরে গিয়ে একটু এবার নিজেদের দিকে মানে আমাদের মেয়েদের দিকে আসি। এই সমাজে এমন অনেক বিবাহিত মেয়েরা আছেন যাদের উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও হাউস ওয়াইফ হয়ে থাকেন। অনেকের পরিবার দিয়ে হয়তো মেনে নিতে পারেন না যে বৌমা চাকরি করবে বলে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের ইচ্ছেতেই বাড়িতে বসে থাকেন, চাকরির কোনও রকম ইচ্ছে তো দূরের কথা মাথাতেও এই বিষয়টা আনতে চান না। শুধু বিবাহিত কেন অনেক অবিবাহিত মেয়েও আছেন এরকম যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের "ড্যাডি'স লিটল প্রিন্সেস" বলে আখ্যা দিয়ে বেড়ান অথচ ক্যারিয়ার ব্যাপারটা কি সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু কখনও এদের এই সময় বলতে শোনা যায় না যে "আমরা স্ট্রং! আমরা চাকরি করতে চাই বা অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে কিছু করে দেখাতে চাই!" সমাজের এই "রানী" বা "রাজকন্যা" রাই বেশী করে খেটে খাওয়া ছেলেদের মানে গোটা পুরুষজাতিটাকে "উইক" তকমাটা দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা কখনও ভেবে দেখেন না তারা যে আজ এতটা খুশি আছেন বা দামি গয়না, শাড়ি বা জামাকাপড় পড়তে পারছেন সেটা সেই "উইক" তকমা দেওয়া পুরুষজাতীর মানে তার স্বামী বা বাবা-দাদার কঠোর পরিশ্রমের ফল। কিন্তু সমাজে এরকমও অনেক মেয়েরা আছেন যারা নিজেদের পাশাপাশি একটা ছেলের কঠিন পরিশ্রমকে সম্মান দিয়ে থাকেন।
আমাদের মেয়েদের কখনই ছেলেদের উইক বলে নিজেদের স্ট্রং বলা একদমই সাজে না কারণ আমরা মেয়েরা আমাদের মতোন স্ট্রং আর ছেলেরা তাদের মতন স্ট্রং। আমরা স্বাধীনচেতা হতে শিখেছি মায়ের পাশাপাশি বাবার সহযোগিতায়। তাই কোনও ভাবে ছেলেদের উইক বলা মানে নিজেদের বাবা-দাদাদের উইক বলা। এসব উইক স্ট্রং এর মাপকাঠিতে না গিয়ে সেই মানুষগুলোর স্যাক্রিফাইস এর জন্য তাদের পাশে সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে দাঁড়ানো। মুখে বলা যত সোজা, সেই মানুষগুলোর জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করা খুবই কঠিন।
Comments
Post a Comment