Posts

Showing posts from 2018

একটু অন্যরকম

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে অনেক কিছুই আমাদের নজরে সচরাচর আসেনা। কিন্তু সারাদিনের ক্লান্তির পর ভারচুয়াল মিডিয়াতে ঢুকতেই এমন কিছু দেখি যেগুলো আবার এড়িয়ে যাওয়ার মতোনও না। মাঝেমধ্যেই ফেসবুকের মতোন সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশির ভাগ মেয়েদেরই পোস্ট করতে দেখি যেখানে বলা হয়ে থাকে, " একটা ছেলে কখনই একটা মেয়ের চেয়ে বেশি স্ট্রং হতে পারে না। আমরা হেঁসেল ঠেলি, সংসার সামলাই, নয় মাস একটা বাচ্চাকে পেটে রেখে জন্ম দি প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে, তাকে বড় করে তুলি এবং আরও অনেক কিছু।" বলতে শুরু করলে হয়তো শেষ হবে না। অবশ্যই আমরা মেয়েরা স্ট্রং না হলে রান্না করা, সংসার সামলানো, কাজ করা, আবার ছেলে-মেয়ে মানুষ করে তোলা- এতকিছু একা হাতে করা মুখের কথা নয়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতাটাও মেয়েদের আছে। কিন্তু শুধুমাত্র এই "প্রসব যন্ত্রণা" কথাটাকে বেশি প্রাধাণ্য দিয়ে কখনই নিজেদের স্ট্রং আর ছেলেদের উইক বলা খাটে না। কারণ আমরা মেয়েরা যেকোনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে অনেক সময়ই ভেঙে পরি। কিন্তু কখনই কোনও ছেলেকে কোনোরকম কঠিন পরিস্থিতিতে কাঁদতে বা হেরে যেতে দেখিনা। তাদের মুখবুজে সেই কঠিন সময়ট...

আমার শহর

Image
"মেঘের চাদরে মোড়া চেনা শহর, সবুজের গন্ধের মোড়কে ভরে থাকে ভালোবাসার আঙ্গিনা।" ঠিক এইভাবেই শহরটার প্রেমে পড়েছিলাম। বয়স তখন সবে তেরো, মা বাবার হাত ধরে এই স্বপ্নের দেশে পাড়ি দি। মনের মধ্যে ছিল অনেকটাই কৌতূহল আর কিছুটা ভয়। কিন্তু কখন যে এই ভয়টা কাটিয়ে এই শহরটাকে ভালবেসে ফেলেছিলাম তা বুঝতে পারিনি। ওহ! শহরটার নামটা তো বলাই হল না! আমার কালিম্পং। স্কুল জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই আমার এখানে কাটানো। স্কুলের নাম ছিল নেপালি গার্লস হাই স্কুল। এই শহরের মধ্যমণি ছিল আমার স্কুল। পাহারের কোলে থাকায় স্কুলটি এই শহরটির মতোই ছিল সৌন্দর্যে ভরপুর। স্কুলটির পাশেই ছিল হোস্টেল ক্যাম্পাস। ওখানেই আমাকে থাকতে হত। বেশ কয়েকজন নতুন কিছু ছোট -বড় মানুষের সাথে আলাপ হয় সেখানে। শহরটার মতন ওখানকার মানষগুলো বেশ সুন্দর। ভীষণ জলদি আপন করে নেয় সবাইকে তারা। দেখতে গেলে বেশ ছোট বয়স থেকেই হোস্টেল জীবন সম্পর্কে ধারণা এসে গিয়েছিল। দিনগুলো বেশ মজায় কাটতো। সকালে স্কুল আর বিকেলে হোস্টেল এ গিয়ে সোজা খেলতে চলে যাওয়া, এইভাবেই সারাটা দিন কেটে যেতো। আর রবিবার দিনগুলো ক্যাম্পাস থেকে একটু বেরিয়ে পাশের চার্চে নিয়ে যাওয়া হতো। ...